ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে পুলিশ সদস্যের সন্তানদের প্রমার্জনের জন্য সঠিক প্রমাণ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদরদফতর।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পুলিশ সদরদফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্ল্যানিং-২) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত দেশের সব জেলার এসপিসহ পুলিশের সব ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সদরদফতর সূত্র জানায়, পুলিশের টিআরসি পদের নিয়োগে বর্তমানে কর্মরত এবং অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত্যুবরণকারী সদস্যদের সন্তানদের চাকরি দেয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) প্রমার্জনের ব্যবস্থা করেছেন। অর্থাৎ নিয়োগের সার্কুলারে যদি পুলিশের সন্তানের বয়স, শারীরিক উচ্চতা এবং বুকের মাপ কিছুটা কমবেশি হয় সেক্ষেত্রে আইজিপি সেগুলোকে প্রমার্জনের নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে এই প্রমার্জনের জন্য স্ব-স্ব ইউনিট থেকে পুলিশ সদস্যরা সঠিকভাবে কাগজপত্র পাঠাচ্ছেন না। তাই তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু প্রমাণপত্র পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, টিআরসি পদে ভর্তিচ্ছু পুলিশ সদস্যদের সন্তানদের জন্য বাবা-মায়ের আইডি কার্ড, তার জাতীয় পরিচয়পত্র, বাবা-মায়ের কর্মরত, বা অবসরপ্রাপ্ত অথবা মৃত্যুবরণ বিষয়ে ইউনিট প্রধানের প্রত্যয়নপত্র, সন্তানের এসএসসি পাসের সনদের কপি, সন্তানের জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং সন্তানের নাগরিকত্ব সনদপত্র পাঠাতে হবে। কাগজগুলো একজন ৯ম গ্রেডের কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে আবেদন করতে বলা হয়েছে চিঠিতে।
শিগগিরই সারাদেশে টিআরসি পদে ১০ হাজার জনবল নিয়োগ দেবে পুলিশ। জানা গেছে, এর মধ্যে ৮৫০০ জন পুরুষ এবং ১৫০০ জন নারী কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ পাবেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশে ২ লাখ ১০ হাজারের মতো ফোর্স রয়েছে। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধাপে ধাপে আরও ৫০ হাজার পুলিশ নিয়োগের নির্দেশনা দেন। তবে করোনার কারণে ২০২০ সালে পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি।